Mukesh Ambani House Worker Salary: মুকেশ আম্বানি! তুমি নিশ্চয়ই নামটা শুনেছো। শুধু দেশেরই নয়, সমগ্র এশিয়ার সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি। যদি একজন মানুষ মোবাইল ডেটা বিনামূল্যে করে, তাহলে একবার ভাবুন তার বাড়ি কতটা গর্বিত হবে! এখন যদি কেউ একই রাজপ্রাসাদ ‘অ্যান্টিলিয়া’ তে চাকরি পায়, তাহলে ভেবে দেখো তার ভাগ্য খুলে গেছে। কিন্তু অপেক্ষা করো! সেখানে কাজ করার অর্থ কেবল ঝাড়ু দেওয়া এবং মোছা নয়, বরং সম্পূর্ণ পেশাদার স্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
পরীক্ষা দিতে হবে
আম্বানি হাউসে কাজ করার জন্য প্রথমে একটি লিখিত পরীক্ষা এবং তারপর একটি সাক্ষাৎকার নিতে হয়। কেউ শুধু বলে না, “ভাই, আমি ঝাড়ু দিতে এসেছি।” লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আপনি সাক্ষাৎকারের রাউন্ডে পৌঁছান এবং সেখানে খুব কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। সময় ব্যবস্থাপনা, চাপ মোকাবেলা, নীতিশাস্ত্র এবং পেশাদারিত্ব সবকিছুই পরীক্ষিত।
Railway ATM: চলন্ত ট্রেনে টাকার সমস্যা হবে না, ট্রেনে বসানো হল প্রথম এটিএম
রাঁধুনির চাকরি

এবার রান্নাঘরের কর্মীদের কথা বলা যাক। যদি আপনি মুকেশ আম্বানির বাড়িতে রাঁধুনি হতে চান, তাহলে একটি অস্থায়ী রেসিপি যথেষ্ট হবে না। হোটেল ম্যানেজমেন্টে আপনার অবশ্যই একটি পেশাদার সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এছাড়াও, কমপক্ষে কয়েক বছরের দৃঢ় অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এখানকার খাবার কেবল স্বাদের জন্য তৈরি করা হয় না, বরং স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি এবং আন্তর্জাতিক মানের কথা মাথায় রেখেও তৈরি করা হয়।
বেতন এত বেশি!
এবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়, টাকা নিয়ে কথা বলা যাক। সাধারণ কর্মীরা প্রতি মাসে ₹৫০,০০০ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পান। এই বেতন আপনার পদ, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু অপেক্ষা করুন স্যার… যদি আপনি আম্বানি পরিবারের ব্যক্তিগত রাঁধুনির বেতন জানেন, তাহলে আপনি অবাক হবেন।
সিইওদের দেখেও বেশি বেতন
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আম্বানি পরিবারের ব্যক্তিগত রাঁধুনি বার্ষিক কোটি টাকার প্যাকেজ পান। এখন ভাই, যখন বাড়িতে প্রতিদিন মেনু পরিবর্তন হয়, খাবার স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু উভয়ই হতে হবে, এবং মান ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোটেলের চেয়েও বেশি হবে, তখন বেতনও একই রকম হবে।