Hero Motocorp আবারও ভারতের বাইক বাজারে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে। মিডিয়া রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে, কোম্পানিটি ৫৯ লক্ষেরও বেশি বাইক এবং স্কুটার বিক্রি করেছে। এই সংখ্যার জোরেই হিরো মোটোকর্প দেশের এক নম্বর টু হুইলার ভেহিকল প্রস্তুতকারক সংস্থা হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রাপ্ত বিক্রয় সংখ্যা অনুযায়ী, হিরো ৫.৫ লক্ষ ইউনিট বিক্রি রিজেস্টার করেছে।
আরো পড়ুন: ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে Hyundai Ioniq 5
হিরো মোটোকর্পের বিক্রয় পরিসংখ্যান এখনও বেশ চোখে পড়ার মতো। কোম্পানিটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে ভারতীয় বাজারে মোট ৫,১৯,৩৪২টি ইউনিট বিক্রি করেছিল। অন্য দিকে রপ্তানির হিসেব অনুযায়ী এই সংখ্যা ৩১ হাজার ৫০০ ইউনিটে পৌঁছেছে। এইভাবে কোম্পানিটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মোট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৪২ ইউনিট বিক্রি করেছে।
হিরোর সর্বাধিক বিক্রিত বাইক ছিল হিরো স্প্লেন্ডার (Hero Splendor), যা ভারতীয় গ্রাহকদের অন্যতম পছন্দের একটি বাহন। এছাড়াও, হিরো এইচএফ ডিলাক্স, হিরো প্যাশন প্রো এবং হিরো এক্সট্রিমের মতো বাইকগুলিও ভালো বিক্রি করেছে। হিরো মোটোকর্প বাইকগুলি তাদের চমৎকার মাইলেজ, সাশ্রয়ী দামের মধ্যে মেইনটেনেন্স, মজবুত বিল্ড কোয়ালিটি এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। তাছাড়া দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোম্পানির বহু সার্ভিস সেন্টার এবং মধ্যবিত্তের মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রাইজ পয়েন্ট হিরোর বাইকের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষ করে হিরো স্প্লেন্ডার এবং এইচএফ ডিলাক্সের মতো বাইকগুলি গ্রামীণ এবং শহুরে গ্রাহকদের জন্য একটি দুর্দান্ত অপশন হয়ে উঠেছে।
কোম্পানি এখানেই থেমে নেই। হিরো মোটোকর্প এখন বৈদ্যুতিক দ্বি-চাকার বাহনের বিভাগেও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কোম্পানিটি সম্প্রতি তাদের প্রথম Hero Vida V1 ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করেছে এবং আগামী সময়ে আরো অনেক নতুন ইলেকট্রিক টু-হুইলার লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও, বাজারে নতুন প্রযুক্তি এবং বৈশিষ্ট্যযুক্ত বাইক লঞ্চ করার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। ৫৯ লক্ষেরও বেশি বাইক বিক্রি করে, কোম্পানিটি ক্রমাগত গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে চলেছে। আগামী মাসগুলিতে হিরো তার বৈদ্যুতিক এবং সাধারণ বাইক উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। ভারতীয় বাজারে কোম্পানিটি আর কী কী বাইক এবং নতুন কোন ফিচার অফার করে কি না সেখান সেটাই দেখার বিষয়। সময়ের সঙ্গে বাজার বদল বলেও, কোম্পানির পারফরম্যান্স রয়েছে আগের মতোই।