CIBIL Score: জরুরি ভিত্তিতে যে কোনো মানুষেরই লোনের দরকার পড়তে পারে। লোন নেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক একাধিক বিষয় বিবেচনা করে দেখে। লোন পাওয়া কিংবা না পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে CIBIL স্কোর। কারও CIBIL স্কোর যদি খুবই খারাপ হয়, কিংবা ব্যাঙ্কের আশানুরূপ না হয়, তাহলে সহজে ঋণ পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় এমনটাও হয় যে ঋণ পাওয়ার জন্য কোনো কিছু বন্ধক রাখতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে আবার সুদের হারও বেশি। সাধারণ মানুষের একাংশের কাছে এই CIBIL স্কোর বিষয়টা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
CIBIL স্কোর একটি সংখ্যা, যার মাধ্যমে বোঝা যায় আপনি লোন পাওয়ার ব্যাপারে কতটা যোগ্য বা অযোগ্য। আইন সূচক সংখ্যা ৩০০ থেকে ৯০০- এর মধ্যে গণনা করা হয়। তবে কারও স্কোর যদি ৭৫০ বা তার বেশি হয়, তাহলে তাঁর CIBIL স্কোর ভালো বলে ধরে নেওয়া হয়। স্কোর ভালো হলে লোন পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই বেড়ে যায়। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, CIBIL স্কোর ভালো রাখার উপায় কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অতীতে পেমেন্ট ঠিকঠাক করেছিলেন কি না, কোনো পেমেন্ট মিস করেছিলেন কি না সেটা পরীক্ষা করা হয়। যদি কোনও পেমেন্ট দেরিতে করা হয়, তাহলে কতবার এবং কতক্ষণ বিলম্ব হয়েছিল? EMI কতবার নির্দিষ্ট সময়ে দিতে পারেননি সেটাও পরীক্ষা করা হয়।
যিনি লোনের জন্য আবেদন করেছেন তাঁর নামে এখনও কোনো বকেয়া আছে কি না, থাকলে কত ক্রেডিট বা ঋণ বাকি আছে এবং এর কত অংশ আপনি ব্যবহার করেছেন সে ব্যাপারেও পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করা হয়।
আগে কী ধরণের ঋণ নিয়েছেন বা এখনো আপনার নামে কোনো ঋণ রয়েছে সেটা দেখা হয়। অনিরাপদ লোনের সংখ্যা এবং সুরক্ষিত লোনের সংখ্যা কতগুলো আছে সেটা পরীক্ষা করা হয়। আপনার নামে যত বেশি সুরক্ষিত ঋণ থাকবে, আপনার CIBIL স্কোর তত ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
এছাড়াও দেখা হয় আবেদনকারী ব্যক্তির নামে কতগুলো লোন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, এখনও কোনো লোন চলছে কি না ইত্যাদি। অ্যাকাউন্ট খোলা ও বন্ধ করার হিসেব গণনা করা হতে পারে। ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত খতিয়ে দেখা হতে পারে। এই সব কিছুই একজন ব্যক্তির CIBIL স্কোর নির্ণয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।