Income Tax: আয়কর বিভাগের নতুন নিয়ম আসতে চলেছে। সম্প্রতি সরকার একটি নতুন আয়কর বিল নিয়ে এসেছে। এতে, আয়কর সম্পর্কিত অনেক নিয়ম পরিবর্তন হবে। করদাতাদের এই নিয়মগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আয়কর বিভাগের তদন্তের পরিধি কতটা বাড়ানো হয়েছে তা জানা যাক।
আপনি কর লুকাতে পারবেন না
এবার কর ফাঁকি দেওয়াদের উপর কড়া নজরদারি শুরু করতে চলেছে আয়কর বিভাগ। কর ফাঁকির ক্ষেত্রে এখন আয়কর বিভাগ আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির উপরও নজর রাখবে। নতুন বিলে তদন্তের এই অধিকার পাচ্ছে আয়কর বিভাগ। এর পরে, তার আগের চেয়ে আরও বেশি কর্মক্ষমতা থাকবে।
নতুন নিয়মটি ১ তারিখ থেকে কার্যকর হবে

নতুন আয়কর আইনে আয়কর বিভাগের তদন্তের পরিধি বাড়ানো হবে। এটি ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে পারে। আইন অনুযায়ী, আয়কর কর্মকর্তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ইমেল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম এমনকি অনলাইন বিনিয়োগের মাধ্যমে সরাসরি তাদের কাছে যেতে পারেন।
আয়কর কর্মকর্তার তল্লাশি ও জব্দ করার অধিকার রয়েছে
১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১৩২ ধারা অনুসারে, আয়কর কর্মকর্তার যেকোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি ও আটক করার অনুমতি রয়েছে। এখন সরকার নতুন নিয়মের মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যমে কর ফাঁকি দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আইনের অধীনে, অঘোষিত আয়, সোনা-রূপা, মূল্যবান ডিজিটাল জিনিসপত্র এবং গোপন সম্পদ ট্র্যাক করা যাবে।
আয়কর কর্মকর্তারা এই সুবিধা পাবেন
অনেক সময় আয়কর কর্মকর্তারা যখন পরিদর্শনে যান, তখন ডিজিটাল ডিভাইস পরীক্ষা করতে তাদের অসুবিধা হয়। এখন, তদন্তের সময় যদি কোনও ব্যক্তি সহযোগিতা না করে তবে অফিসাররা ফাইল এবং ডেটা আনলক করতে সক্ষম হবেন। আয়কর কর্মকর্তাদের পাসওয়ার্ড বাইপাস করার ক্ষমতা থাকবে। নিরাপত্তা সেটিংস ওভাররাইড করা যেতে পারে।
বর্তমান আয়কর আইন অনুযায়ী, আয়কর কর্মকর্তা কারোর আবাসিক ভবনে অভিযানের সময় ল্যাপটপ বা হার্ড ড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করতে পারেন। কর্মীদের ডিজিটাল ডেটাতে সরাসরি প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে আইনি বাধা রয়ে গেছে। আয়কর নিয়ম অনুসারে, এখন এটি করা যাবে না। নতুন আয়কর বিলের ধারা ২৪৭ অনুসারে, কর্তৃপক্ষ কেবল কর ফাঁকির ক্ষেত্রেই ডিজিটাল ডেটা তদন্ত করতে পারবে। তবে, এটি কেবলমাত্র সেইসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে যেখানে অঘোষিত সম্পদ বা আয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি।