Post Office: মানুষ বিনিয়োগ করে বাড়তি লাভের জন্য। বাজারে এখন বিনিয়োগ করার একাধিক উপায় রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার মার্কেট সহ একাধিক জায়গায় এখন বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। তুলনায় ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করা অনেক নিরাপদ। এই প্রতিবেদনে আমরা এমন ৪ টি স্কিমের কথা বলবো, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট হারে রিটার্ন ও সেকশন ৮০সি ধারা অনুযায়ী ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স বাঁচানোর সুযোগ পাবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পোস্ট অফিসের অন্যতম সেরা ৪ টি স্কিম সম্পর্কে দু-চার কথা।
পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট সাধারণ মানুষের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্কিম। ৮০C ধারার অধীনে বিনিয়োগ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুযোগ। নূন্যতম ১০০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। এতে বিনিয়োগের কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। আপাতত ৫ বছর মেয়াদী পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিটে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদের হার পাওয়া যাচ্ছে।
আরো পড়ুন: SBI: মাত্র ৪০০ দিন বিনিয়োগ করে পেয়ে যান বাম্পার সুদ, আবেদন করার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম পোস্ট অফিসের অন্যতম সেরা একটি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। নূন্যতম ১০০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। জানুয়ারী-মার্চ ২০২৫ ত্রৈমাসিকের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.২ শতাংশ। এখানেও রয়েছে কর ছাড়ের সুবিধা।
ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা জাতীয় শংসাপত্র। সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। বিনিয়োগের সর্বোচ্চ কোনও সীমা রাখা হয়নি। জানুয়ারী-মার্চ ২০২৫ ত্রৈমাসিকের জন্য এনএসসিটে ৭.৭% সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানেও পাবেন কর ছাড়ের সুবিধা।
পাবলিক প্রভোদিয়েন্ট ফান্ডে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। ধারা ৮০সি এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। জানুয়ারী-মার্চ ২০২৫ ত্রৈমাসিকের জন্য পিপিএফের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.১ শতাংশ।