PPF বা পাবলিক প্রভিডিয়েন্ট ফান্ড বছরের পর বছর ধরে সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রেখেছে। এখন বিনিয়োগ করার অনেক অপশন রয়েছে। উচ্চ হারে সুদ পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। তুলনায় পাবলিক প্রভিডিয়েন্ট ফান্ড এ সুদের পরিমাণ অনেকের কাছে কম বলে মনে হতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ড সম্প্রতি দারুণভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আরো পড়ুন: Bank: ৬ দিনের বদলে ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে ৫ দিন? যুক্তি হিসেবে একাধিক কারণ
বলা হয়, মিউচুয়াল ফান্ড থেকে গড়ে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পাবলিক প্রভিডিয়েন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করে ৭.১% হারে সুদ পাওয়া যায়। ১২ শতাংশের তুলনায় ৭.১ শতাংশ সুদের মধ্যে পার্থক্য অনেকটা। তাহলে কি বর্তমান সময় পাবলিক প্রভিডিয়েন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়?
এই পুরনো স্কিমে বিনিয়োগ করা আর বুদ্ধিমানের হবে না?
১৯৬৮ সালে ৪.৮ শতাংশ সুদের হার নিয়ে চালু করা হয়েছিল পাবলিক প্রভিডিয়েন্ট ফান্ড। সেই থেকে এই স্কিম এখনো চালানো হচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন পিপিএফ থেকে বিনিয়োগকারীরা ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন। ১৯৮৬-২০০০ সময়কাল ছিল পিপিএফ বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বর্ণযুগ। ১৯৮৬ সালে সরকার সুদের হার ১২ শতাংশ করেছিল বলে মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায়। সেই দিন আর নেই। এখন সুদের হার ৭.১ শতাংশ। তাহলে কি এই পুরনো স্কিমে বিনিয়োগ করা আর বুদ্ধিমানের হবে না?
এখনো জনপ্রিয়
আসলে আজকের দিনেও পাবলিক প্রভিডিয়েন্ট ফান্ড বিনিয়োগ করার অন্যতম উপযুক্ত অপশন। এতে বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। আয়কর আইনের ধারা 80C এর অধীনে পিপিএফের সুদ সম্পূর্ণ করমুক্ত। সেই সঙ্গে মেয়াদপূর্তির পরিমাণও করমুক্ত। এই স্কিমের লক ইন সময় ১৫ বছর।