Tax Saving: অর্থ বিল ২০২৫-এ কর নিয়মে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলো আগামী ১ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছর ২০২৫-২৬ থেকে কার্যকর হবে। বিশেষ করে বেতনভোগী কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে এই পরিবর্তনগুলি করা হয়েছে। এই নতুন নিয়মগুলি বাস্তবায়নের ফলে, এই ধরনের কর্মচারীদের জন্য তাদের কর পরিকল্পনা করা আরো সহজ হবে এবং তারা কর সাশ্রয় করতে সক্ষম হবেন। আপনি যদি একজন বেতনভোগী কর্মচারী হন এবং কর সাশ্রয় করতে চান, তাহলে FY26 শুরুর আগে নতুন কর নিয়মগুলি একবার ঝালিয়ে নিন।
আরো পড়ুন: আরো পড়ুন: Milk Price: দুধের দাম এক ধাক্কায় ৪ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
আয়করের ধারা 87A এর অধীনে কর ছাড় ২৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৬০ হাজার টাকা হবে। এই বর্ধিত ছাড় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ের উপর প্রযোজ্য হবে, যার মধ্যে মূলধন লাভ থেকে আয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। এই ছাড়ের কারণে, নতুন কর ব্যবস্থায় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত করা হবে। বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য, এই সীমা বৃদ্ধি পেয়ে ১২.৭৫ লক্ষ টাকা হবে। কারণ নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে ৭৫,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যাবে। যদিও পুরনো কর ব্যবস্থায় কর ছাড় একই থাকবে।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে কোনো কর্মী যদি তাদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা পান তাহলে সেটা আর সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে না। সম্পদ বলতে গাড়ি, বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা, অথবা চিকিৎসা ব্যয়ের মতো কিছু বিশেষ সুবিধাকে বোঝানো হচ্ছে।
১ এপ্রিল থেকে নতুন কর ব্যবস্থায় কর স্ল্যাব এবং হার পরিবর্তন হতে চলেছে। মূল ছাড়ের সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ৪ লক্ষ টাকা হবে। এছাড়াও, ২৪ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের উপর সর্বোচ্চ ৩০% কর হার প্রযোজ্য হবে। তবে, পুরাতন কর ব্যবস্থার স্ল্যাব এবং হারে কোনও পরিবর্তন হবে না।
সকল ধরণের লেনদেনের ক্ষেত্রে টিডিএস, টিসিএস ধার্য করার সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো হবে। বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হল, ব্যাংক আমানতের উপর টিডিএসের সীমা ৪০,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০,০০০ টাকা হবে।