বর্তমান সময়ে বিনিয়োগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম mutual funds। তবে এটি শেয়ার বাজারের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ। বাজারের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্নও পরিবর্তিত হয়। ধারাবাহিকভাবে কোনো নির্দিষ্ট ফান্ডের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখা গেলেও, এটি নিশ্চিত নয় যে ভবিষ্যতেও একই ধরনের রিটার্ন পাওয়া যাবে। তাই বিনিয়োগ করার সময় সচেতনতা ও সঠিক পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে ভালো লাভের সম্ভাবনা থাকে, তবে ভুল সিদ্ধান্তে বড় লোকসানের আশঙ্কাও থেকে যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে সেরা পারফর্ম করা আন্তর্জাতিক mutual funds
বিগত তিন মাসের সময়সীমায়, বিশেষত আন্তর্জাতিক মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য রিটার্ন লক্ষ্য করা গেছে। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময়ে একমাত্র আন্তর্জাতিক মিউচুয়াল ফান্ড বিভাগ থেকেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এই বিভাগে থাকা ৬৬টি সক্রিয় ফান্ডের মধ্যে ৯টি ফান্ড বিনিয়োগকারীদের দ্বিগুণ ডিজিটের রিটার্ন দিতে সক্ষম হয়েছে।
শীর্ষ পাঁচটি সেরা পারফর্ম করা mutual funds
বিগত তিন মাসের পারফরম্যান্স অনুযায়ী, কিছু আন্তর্জাতিক মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য রিটার্ন নিয়ে এসেছে। সেরা পাঁচটি পারফর্মার ফান্ড হলো:
- মিরায় অ্যাসেট হ্যাঙ্গ সেঙ্গ টেক ইটিএফ এফওএফ: এই ফান্ডটি সর্বোচ্চ ৩৬.৩৭% রিটার্ন প্রদান করেছে। এটি ফান্ড-অফ-ফান্ড ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় চমক ছিল।
- মিরায় অ্যাসেট এনওয়াইএসই ফ্যাঙ্গপ্লাস ইটিএফ এফওএফ: এই ফান্ডটি ২৮.০৫% রিটার্ন দিয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় একটি ফান্ড, বিশেষত যারা মার্কিন প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
- এডেলওয়েস জিআর চাইনা ইকুইটি অফশোর ফান্ড: চীনের ইকুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করা এই ফান্ডটি গত তিন মাসে ১৪.৩৬% রিটার্ন দিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভালো সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
- মতিলাল অসওয়াল নাসডাক ১০০ ফান্ড অফ ফান্ড: জনপ্রিয় এই ফান্ডটি বিনিয়োগকারীদের ১৩.৮১% রিটার্ন প্রদান করেছে। মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা এই ফান্ডের পারফরম্যান্স বেশ উল্লেখযোগ্য।
- অ্যাক্সিস গ্রেটার চাইনা ইকুইটি ফান্ড অফ ফান্ড: এটি বিনিয়োগকারীদের ১২.৩৯% রিটার্ন দিয়েছে। চীনের অর্থনীতির বিকাশের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ফান্ডও বিনিয়োগকারীদের ভালো রিটার্ন দিয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত:
- বাজারের উত্থান-পতনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
- দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি।
- বিনিয়োগের আগে পোর্টফোলিও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত।
- বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো।
- অতীতের রিটার্ন দেখে ভবিষ্যৎ পারফরম্যান্স অনুমান করা কঠিন।
আরো পড়ুন: Amazon-এ বিশাল ছাড়! মনিটর, প্রিন্টার ও স্টোরেজ ডিভাইস মিলছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে
সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঠিক ফান্ড বেছে নিলে বিনিয়োগ থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। তাই বিনিয়োগ করার আগে যথেষ্ট গবেষণা ও সতর্কতা অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।