Health Tips: আপনি কি ঠান্ডা লাগা, নাক দিয়ে জল পড়া, বুকে টান লাগা বা চোখে চুলকানির মতো সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আপনি একা নন। একই ঝামেলায় পড়েছেন অনেকেই। চিকিৎসকদের মতে, আজকাল অনেক রোগী নাক দিয়ে জল পড়া, চোখে জ্বালাপোড়া এবং বুকে অস্বস্তির অভিযোগ নিয়ে ওপিডিতে আসছেন। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ জন রোগীর চিকিৎসা করতে হচ্ছে।
এখনও অনেক মানুষ ভাইরাল সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির মধ্যে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, কারণ উভয়ের লক্ষণই বেশ একই রকম। কিন্তু যদি আপনার সর্দি না থাকলেও ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা বা নাক দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যা হয়, তাহলে এর কারণ ভাইরাসের পরিবর্তে অ্যালার্জি হলেও হতে পারে। আসল ব্যাপারটা হল যে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে, গাছ থেকে নির্গত পরাগরেণু বাতাসে দ্রবীভূত হয়। এটি চোখ, নাক এবং গলাকে প্রভাবিত করে। এই কারণেই এই মরসুমে অ্যালার্জির ঘটনা বেড়ে যায়।

মনে রাখবেন, আজকাল, আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন ছাড়াই, অনেকেই সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় ভুগছেন, যার প্রধান কারণ হতে পারে ক্রমবর্ধমান অ্যালার্জি। এই অ্যালার্জি প্রায়শই বাতাসে ছড়িয়ে থাকা ধুলো, মাটি এবং পরাগরেণুর কারণে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, এই কণাগুলির সংস্পর্শে আসা থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: Bizarre: আশ্চর্য বিজ্ঞান, জীবিত হয়ে উঠল কয়েক হাজার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ভয়ঙ্কর নেকড়ে!
অ্যালার্জি কেন বাড়ছে?
গ্রীষ্মকালে তীব্র বাতাসের সাথে ধুলোঝড় হওয়া সাধারণ। এমন পরিস্থিতিতে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে, বিশেষ করে যারা শ্বাসযন্ত্রের অ্যালার্জি বা হাঁপানির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের এখনই সাবধান হওয়া উচিত। সাম্প্রতিক সময়ে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, বাতাসের আর্দ্রতা এবং দুর্বল বায়ুচলাচলের মতো পরিবেশগত পরিবর্তনগুলি অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে।
আসুন আমরা এই কারণগুলি আরও একটু বিস্তারিতভাবে জেনে ফেলি। যেসব স্থানে তাপের সাথে পরিবেশে আর্দ্রতা থাকে, সেখানে ছত্রাক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি অ্যালার্জির একটি প্রধান কারণ হতে পারে। গ্রীষ্মকালে, গাছ, গাছপালা এবং ঘাসের পরাগরেণু বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে। এই কণাগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নাক, চোখ বা শ্বাসনালীতে পৌঁছায়, যা অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি করতে পারে।