8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকারী ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মী ও পেনশন প্রাপকরা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করার ব্যাপার অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা অনুমান করার চেষ্টা করবো একজন সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া কর্মীর বেতন কতটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরো পড়ুন: Gold Price Today: দাম বাড়ানো হবে না আর, কমল সোনার দাম! জানলে গয়নার দোকানে ছুটবেন
অষ্টম পে কমিশন লাগু করার আগে গঠিত হবে একটি কমিটি। সেই কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান ও দুই সদস্য থাকবেন। তারা আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে গড়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবেন। সেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এখনো কমিটিই গঠন করা হয়নি। ঘোষণা করা হয়নি সদস্যদের নাম। ফলত কেন্দ্রীয় কর্মীদের একাংশের আশঙ্কা, কমিটির তৈরি করা প্রতিবেদন জমা দিতেও হয়তো অনেকটা দেরি হবে। তাহলে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানাতেও হয়তো অনেকটা সময় লেগে যাবে।
কিছু সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে যে, এপ্রিল মাসে বেতন কমিশনের তিন সদস্যের প্যানেলের চেয়ারম্যান এবং দুই সদস্যের নাম ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর কর্মীদের বেতনের জন্য ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর নির্ধারণ করা হবে। এর আগে, কেন্দ্রীয় সরকার ১ জানুয়ারী, ২০১৬ তারিখে ৭ম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করেছিল, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে।
নূন্যতম বেতন বৃদ্ধি কতটা হতে পারে?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অষ্টম বেতন কমিশনে বেতন বৃদ্ধির জন্য ২.৮৬ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও এখনই এটা জোর দিয়ে বলার সময় আসেনি। কিন্তু যদি এই পরিমাণ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর যদি এটাই রাখা হয়, তাহলে একজন কর্মীর বেতন কত হতে পারে? এখন কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন প্রতি মাসে ১৮ হাজার টাকা। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর এই হারে ধরলে সেই কর্মীর বেতন বেড়ে হবে ৫১,৪৮০ টাকা হবে। একই সাথে, ন্যূনতম পেনশন ৯০০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫,৭৪০ টাকা হবে।
কতো হতে পারে সর্বোচ্চ বেতন?
এবার আসা যাক সর্বোচ্চ বেতনের কথায়। সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে কর্মচারীদের সর্বোচ্চ মূল বেতন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এর ওপর যদি ২.৮৬ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর যুক্ত করা হয় তাহলে সেই কর্মীর বেতন এক ধাক্কায় বেড়ে হবে প্রায় ৬ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা