Mid-day Meal Rules: স্থূলতা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রের প্রভাব এখন স্কুলের শিশুদের খাবারের উপরও দৃশ্যমান হবে। এখন প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনার আওতায় দেওয়া দুপুরের খাবারে রান্নার তেলের পরিমাণ দশ শতাংশ কমানো হবে। এই পরিবর্তন স্কুল ক্যান্টিন এবং হোস্টেলেও প্রযোজ্য হবে।
স্কুলের বাচ্চারা কম তেলে খাবার পাবে
বর্তমানে, প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনার আওতায় শিশুদের দেওয়া খাবারে, প্রাথমিক স্তরে প্রতি শিশুর জন্য পাঁচ গ্রাম তেল এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে সাড়ে সাত গ্রাম তেল ব্যবহার করা হয়। এখন এই পরিমাণ দশ শতাংশ কমানো হবে। এই প্রকল্পের আওতায়, সারা দেশের ১১.২০ লক্ষ স্কুলের ১১.৮০ কোটি শিশু প্রতিদিন তাজা দুপুরের খাবার পায়।

প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ক্রমবর্ধমান স্থূলত্ব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং পরামর্শ দিয়েছিলেন যে আমাদের খাবারে তেলের ব্যবহার দশ শতাংশ কমিয়ে আমরা স্থূলতা এড়াতে পারি। তার পরামর্শ বিবেচনা করে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুলগুলির জন্য বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তেলের ব্যবহার কমানোর বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া, অভিভাবকদের সাথে সভা করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশাবলী।
শিক্ষা মন্ত্রকের স্কুল শিক্ষা সচিব সঞ্জয় কুমার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, প্রধান সচিব এবং শিক্ষা সচিবদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন এবং স্কুলগুলিতে তেলের পরিমাণ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর সাথে, তিনি ল্যানসেট রিপোর্টেরও উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে ২০২২ সালে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ১ কোটি ২৫ লক্ষ শিশু স্থূলকায় হবে, যেখানে ১৯৯০ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ০.৪ লক্ষ।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে
- স্কুলে নিযুক্ত রাঁধুনিদের কম তেলে খাবার তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া।
- শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্য দূত মোতায়েন করা।
- গার্হস্থ্য বিজ্ঞান কলেজগুলির সহযোগিতায় কম তেলযুক্ত খাবার তৈরির উপর রান্নার ক্লাস আয়োজন করা।
- শিশুদের যোগব্যায়াম এবং ব্যায়ামের মতো কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা।
এই সমস্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর পরামর্শ অনুসারে শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার এবং জীবনধারা গ্রহণের বিষয়ে সচেতন করা হবে।