Hydrogen Train: ভারতীয় রেলের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন হরিয়ানার জিন্দ-সোনিপত রুটে তার প্রথম যাত্রা শুরু করতে চলেছে। এই পরিবেশবান্ধব ট্রেনটি চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) তৈরি করেছে। ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে এর পরীক্ষামূলক যাত্রা আজ থেকে শুরু হচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ের বিশেষ প্রকল্প ‘হাইড্রোজেন ফর হেরিটেজ’-এর আওতায় এই ট্রেনটি পরিবেশবান্ধব পরিবহনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
আরো পড়ুন: একগুচ্ছ নিয়ম, সামনের মাস থেকেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে UPI অ্যাকাউন্ট
হাইড্রোজেন ট্রেন হলো এমন একটি ট্রেন যা হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ট্রেনটি প্রচলিত ডিজেল ট্রেনের পরিবেশবান্ধব বিকল্প। হাইড্রোজেন ট্রেনে জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যা অক্সিজেনের সাথে মিশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এই প্রক্রিয়ায়, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন একটি জ্বালানী কোষে রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়া করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। হাইড্রোজেন ট্রেনগুলি বর্তমান রেল পরিকাঠামোর সাথে সহজেই চলতে পারে এবং ডিজেল ট্রেনের তুলনায় এগুলিকে বেশি শক্তি-সাশ্রয়ী বলে মনে করা হয়। এই প্রযুক্তি কেবল পরিবেশ বান্ধব না বরং শব্দ দূষণও কমায়। কারণ হাইড্রোজেন ট্রেনগুলি ডিজেল ইঞ্জিনের তুলনায় অনেক কম শব্দ উৎপন্ন করে।
হাইড্রোজেন ট্রেনগুলি অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব কারণ এগুলি কার্বন ডাই অক্সাইড বা অন্যান্য ক্ষতিকারক গ্যাস নির্গত করে না। ট্রেনটি ১২০০ হর্সপাওয়ার ক্ষমতা সহ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। এটি একসাথে ২৬৩৮ জন যাত্রী বহন করতে পারে। ৮টি কোচ বিশিষ্ট এই হাইড্রোজেন ট্রেনটি বিশ্বের দীর্ঘতম হাইড্রোজেন ট্রেনগুলির মধ্যে একটি। এটি দীর্ঘ দূরত্বের রুটে, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী এবং পাহাড়ি রুটে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। ট্রেনটি কম জ্বালানিতে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে, যার ফলে পরিচালন খরচ কম হয়।