Success Story: ভারতের সর্বকনিষ্ঠ CEO, ৯ বছর বয়সে তৈরি করেন অ্যাপ, ১৩ বছর শুরু কোম্পানি, এখন একজন ইউটিউবারও

Published on:

Follow Us

Success Story: কেরালার তিরুভাল্লায় জন্মগ্রহণকারী আদিত্যন রাজেশকে আজ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাচ্চারা যখন স্কুলের হোমওয়ার্ক এবং গেম নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন আদিত্যন ৯ বছর বয়সে একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৩ বছর বয়সে তিনি নিজের আইটি কোম্পানি ট্রিনেট সলিউশনস শুরু করেছিলেন।

এই ছোট্ট ‘প্রযুক্তি প্রতিভা’ দুবাইতে বসতি স্থাপন করেছে

আদিত্যনের বয়স যখন মাত্র ৫ বছর, তখন তার পরিবার দুবাইতে চলে আসে। সেখান থেকেই তার কারিগরি যাত্রা শুরু। তার বাবা প্রথমে তাকে বিবিসি টাইপিং ওয়েবসাইটটি দেখান। সেখান থেকে, তিনি টাইপিং এবং কম্পিউটারের জগতে আগ্রহ তৈরি করেন। “আমি ৫ বছর বয়স থেকে কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করি। আমার খুব বেশি বন্ধু ছিল না, তাই আমি বেশিরভাগ সময় ইউটিউবে টাইপিং গেম এবং স্পেলিং বি খেলে কাটিয়েছি,” আদিত্যন এক সাক্ষাৎকারে বলেন।

Bizarre: আশ্চর্য বিজ্ঞান, জীবিত হয়ে উঠল কয়েক হাজার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ভয়ঙ্কর নেকড়ে!

প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা শুরু হয়েছিল একাকীত্ব থেকেই

Aadithyan Rajesh

অল্প বয়সে খুব বেশি বন্ধু না থাকার কারণে, আদিত্যন তার বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটে কাটাতেন। এখান থেকেই কোডিং এবং ডিজাইনের প্রতি তার আগ্রহ বেড়ে যায়। ৬ বছর বয়স থেকে, সে HTML, CSS এর মতো মৌলিক কোডিং ভাষা শেখা শুরু করে।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে শেখা এবং শেখানো

আদিত্যন কেবল একজন ডেভেলপারই নন, একজন ইউটিউবারও। তার চ্যানেল A Craze প্রযুক্তি, গেমিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব ডিজাইনিং এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। তিনি এখানে তার জ্ঞান ভাগ করে নেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তিনি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের উপর একটি অনলাইন কোর্সও চালু করতে চলেছেন। তার ছোট বোনও এই চ্যানেলে তাকে সহায়তা করে – সে ভিডিও শুটিংয়ে সাহায্য করে।

বন্ধুরাও ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে ওঠে

আজ আদিত্যন তার তিন স্কুল বন্ধুর সাথে ট্রিনেট সলিউশনস চালাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত তিনি ১২ জনেরও বেশি ক্লায়েন্টের জন্য ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ তৈরি করেছেন। যদিও তার কোম্পানি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়নি, তার স্বপ্ন এটিকে একটি বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডে পরিণত করা এবং iOS অ্যাপও তৈরি করা। শুধু তাই নয়, আদিত্যন তার স্কুলের জন্য একটি ক্লাস ম্যানেজমেন্ট অ্যাপও তৈরি করছেন, যাতে শিক্ষকদের কাজ আরও সহজ করা যায়। কারিগরি প্রকল্পে তার সহপাঠীদের সহায়তা করাও তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।