Telescope in Moon: চিনাবিজ্ঞানীরা চাঁদের যে অংশ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না, সেখানে একটি টেলিস্কোপ স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।অনুমোদিত হলে, এটি হবে মহাকাশ থেকে আসা রেডিও সংকেত সনাক্তকারী প্রথম চন্দ্র পর্যবেক্ষণাগার। এতে ৭,২০০টি অ্যান্টেনা থাকবে, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না এমন সংকেত রেকর্ড করবে। এটি মহাবিশ্বের প্রাথমিক সময় বোঝার জন্য এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি চন্দ্র গবেষণা কেন্দ্র তৈরির জন্য নির্মিত হচ্ছে।
মহাবিশ্বের রহস্য আবিষ্কার করা
টেলিস্কোপটি প্রায় ৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত হবে এবং এর মূল লক্ষ্য হবে মহাবিশ্বের ‘অন্ধকার যুগ’ অধ্যয়ন করা, যখন প্রথম নক্ষত্রগুলিও তৈরি হয়নি। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এটি তাদের আরও বহির্গ্রহ আবিষ্কার করতে এবং প্রাথমিক মহাবিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। এটি তৈরি করা সহজ হবে না, কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সমতল জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার জন্য, এটি পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল যাতে প্রযুক্তিগত অসুবিধাগুলি সমাধান করা যায়।

নির্মাণকাজ ৩টি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে
প্রথম পর্যায়ে, ১৬টি অ্যান্টেনা স্থাপন করা হবে, যা মহাজাগতিক রেডিও পটভূমি অধ্যয়ন করবে। এটি চাং’ই-৭ এবং ৮ মিশনের মাধ্যমে করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে, আরও ১০০টি অ্যান্টেনা যুক্ত করা হবে, যা মহাকাশচারীরা বিশেষ সরঞ্জামের সাহায্যে স্থাপন করবেন। এই পর্যায়টি সম্পন্ন হতে ৫ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তৃতীয় এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে, সমস্ত অ্যান্টেনা স্থাপন করা হবে, যার ফলে মানমন্দিরটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় ১০ বছর সময় নেবে।
আমেরিকারও একই পরিকল্পনা
নাসা ২০২১ সালে ‘লুনার ক্রেটার রেডিও টেলিস্কোপ’ তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, যার মধ্যে চাঁদের একটি গর্তের ভিতরে একটি বৃহৎ টেলিস্কোপ স্থাপন করা হবে। এটি একটি দেওয়ালে আরোহণকারী রোবট দিয়ে তৈরি করার কথা ছিল, কিন্তু পরিকল্পনাটি এগিয়ে যায়নি। বিপরীতে, চিন আগামী দশকের মধ্যে তার টেলিস্কোপটি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছে। যদি সফল হয়, তাহলে এটি মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা বুঝতে এবং মহাকাশ বিজ্ঞানে বড় ধরনের সাফল্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।