Toyota Fortuner ভারতে প্রিমিয়াম এসইউভি বিভাগে স্থান পেয়েছে। এই গাড়িটি তার শক্তিশালী কর্মক্ষমতা, দুর্দান্ত লুক এবং অসাধারণ রোড প্রেজেন্সের জন্য পরিচিত।
টয়োটা ফরচুনারের বেস ভেরিয়েন্টের দাম ৩৫.৩৭ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম), যদি আমরা অন-রোড দাম বিবেচনা করি, যার মধ্যে RTO ট্যাক্স, বীমা এবং অন্যান্য চার্জ অন্তর্ভুক্ত থাকে, তখন দিল্লির মতো শহরে মোট খরচ প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা হয়ে যায়। এর অর্থ কেবল গাড়ির দামই নয়, এর সাথে সম্পর্কিত অতিরিক্ত খরচও পকেটের উপর ভারী বোঝা চাপিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন: টাটা-মাহিন্দ্রার আধিপত্য আর চলবে না, কম দামে লঞ্চ হতে চলেছে Kia Sportage
ধরুন আপনি একটি ব্যাংক থেকে টয়োটা ফরচুনারের জন্য কার লোন নিলেন। বেশিরভাগ ব্যাংক এক্স-শোরুম মূল্যের ৯০% পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে, তবে আপনাকে কমপক্ষে ১০% অর্থাৎ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। এখন আপনি যদি ৭ বছরের জন্য ৯% সুদের হারে ৩৬ লক্ষ টাকা ঋণ নেন, তাহলে আপনার আনুমানিক EMI প্রতি মাসে প্রায় ৫৮,০০০ টাকা হবে। এই EMI খুব বেশি বলে বিবেচিত হবে, বিশেষ করে যদি আপনার মাসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা হয়। এই বেতন দিয়ে কেবল এই EMI পরিশোধ করাই কঠিন হবে না, বরং অন্যান্য পারিবারিক খরচ পরিচালনা করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার EMI আপনার বেতনের সর্বোচ্চ ৪০-৫০% হওয়া উচিত। অর্থাৎ, ৫০,০০০ টাকা বেতনের ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত EMI বৈধ বলে বিবেচিত হবে। ফরচুনারের ইএমআই এর চেয়ে অনেক বেশি। যদি আপনার অতিরিক্ত আয়ের কোনও উৎস থাকে অথবা আপনি ১০-১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বড় অঙ্কের ডাউন পেমেন্ট করার অবস্থানে থাকেন, তাহলেই এই গাড়িটি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। অন্যথায়, এই বাজেটে Tata Nexon, Maruti Brezza, Kia Sonet এর মতো সাশ্রয়ী মূল্যের SUV কেনা ভালো।
টয়োটা ফরচুনার দুটি ইঞ্জিন বিকল্পের সাথে আসে – একটি ২.৭-লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন এবং একটি ২.৮-লিটার টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন। এতে ৭টি এয়ারব্যাগ, ABS, EBD, হিল স্টার্ট অ্যাসিস্টের মতো সেফটি ফিচার রয়েছে। অভ্যন্তরীণ অংশের কথা বলতে গেলে, এতে ৯ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন সিস্টেম, ওয়্যারলেস চার্জার এবং ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মতো প্রিমিয়াম ফিচার রয়েছে, যা এটিকে একটি নিখুঁত বিলাসবহুল SUV করে তোলে।