Water Drinking: গরমের চাপে বেশি করে জল খাচ্ছেন! এই ৫ সমস্যায় পড়বেন না তো?

Published on:

Follow Us

Water Drinking: জলকে জীবন বলা হয়েছে এবং এটি ১০০% সত্য। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সঠিক কার্যকারিতার জন্য সঠিক পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থই দূর করে না, ত্বকের উন্নতি করে, হজম ব্যবস্থা সুস্থ রাখে এবং শরীরে শক্তি বজায় রাখে। এই কারণেই ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই সারা দিনে ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করার পরামর্শ দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি পান করলেও শরীরের ক্ষতি হতে পারে?

সাধারণত মানুষ বিশ্বাস করে যে আপনি যত বেশি জল পান করবেন, আপনার শরীর তত সুস্থ থাকবে। যদিও সত্য হল যে অতিরিক্ত জল পান করলে স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে জলের বিষক্রিয়া বা হাইপোনাট্রেমিয়া বলা হয়, যা শরীরে লবণ এবং জলের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

অতিরিক্ত জল পানের ৫টি অসুবিধা

Water Drinking
Water Drinking

হাইপোনাট্রেমিয়ার ঝুঁকি: অতিরিক্ত জল পান করলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। এই অবস্থা মারাত্মকও হতে পারে।

কিডনির উপর চাপ বেড়ে যায়: কিডনি একবারে সীমিত পরিমাণে জল পরিশোধন করতে পারে। যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল পান করা হয়, তখন কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা তাদের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

Natural vs Chemical Mangoes: বাজারে গিয়ে কেমিক্যাল যুক্ত আম কিনছেন না তো! এইভাবে চিনে নিন তাজা-ভেজাল

ঘুমের ব্যাঘাত: অতিরিক্ত জল পান করলে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে, যার ফলে বারবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এটি ঘুমের মানকে প্রভাবিত করে এবং পরের দিন আপনি ক্লান্ত বোধ করতে পারেন।

পাচনতন্ত্রের উপর প্রভাব: কিছু লোক মনে করেন যে বেশি জল পান করলে হজমশক্তি উন্নত হয়, কিন্তু খাওয়ার পরপরই অতিরিক্ত পানি পান করলে গ্যাস, বদহজম এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্বাভাবিক তৃষ্ণার স্বীকৃতি দুর্বল হয়ে পড়ে: যদি আপনি তৃষ্ণার্ত না হয়ে ক্রমাগত জল পান করতে থাকেন, তাহলে শরীরের তৃষ্ণা অনুভব করার প্রাকৃতিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রকৃত চাহিদা অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে।

অস্বীকৃতি: এই নিবন্ধে প্রদত্ত উপাদানগুলি কেবল তথ্যের জন্য। কোনও পরামর্শ বা পরামর্শ বাস্তবায়নের আগে, অনুগ্রহ করে একজন বিশেষজ্ঞ / ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।