PM Kisan 20th Installment: প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সুবিধাভোগী কৃষকদের জন্য সুখবর। এখন পর্যন্ত, কৃষকরা ১৯টি কিস্তি পেয়েছেন এবং ২০তম কিস্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। এই প্রকল্পের আওতায়, প্রতি চার মাস অন্তর কৃষকদের ২০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করে। এই যোজনার মূল লক্ষ্য হল দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্পের আওতায়, কৃষকদের প্রতি বছর ৬০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, যা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকার তিনটি কিস্তিতে পাঠানো হয়। এটি একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প যা সারা দেশে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার একসাথে কৃষকদের সাহায্য করছে।
এই কাজ না করলে টাকা পাবেন না
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার ২০তম কিস্তির সুবিধা পেতে, কৃষকদের ই-কেওয়াইসি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ই-কেওয়াইসি ছাড়া কোনও কৃষক পরবর্তী কিস্তির টাকা পাবেন না। আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণের মাধ্যমে পিএম কিষাণ পোর্টালে গিয়ে সহজেই ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করা যেতে পারে। এর জন্য কৃষকদের OTP ভিত্তিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। অতএব, আপনি যদি এই স্কিমের সুবিধা নিতে চান, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করুন।

কারা ২০তম কিস্তির সুবিধা পাবেন না?
তবে, কিছু কৃষক ২০তম কিস্তির সুবিধা পেতে পারবেন না। যেসব কৃষক তাদের ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করেননি তাঁরা এই কিস্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। এছাড়াও, যেসব কৃষক তাদের জমি যাচাই করেননি অথবা নিবন্ধনের সময় কোনও ভুল করেছেন, তারাও এই কিস্তির সুবিধা নিতে পারবেন না। এছাড়াও, যদি কোনও কৃষক আবেদনের সময় ভুল নথি জমা দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি পরবর্তী কিস্তিও পাবেন না।
Aadhaar Voter Linking: শীঘ্রই আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করুন ভোটার কার্ড! অন্যথায় এই ঝামেলা পোহাতে হবে
কবে পাবেন কিস্তির টাকা?
কৃষি মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে এই প্রকল্পের ২০তম কিস্তি জুন মাসে প্রকাশ করা হবে। এর অর্থ হল জুন মাসে দেশের কোটি কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা জমা হবে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার ২০তম কিস্তিও সরাসরি সুবিধা স্থানান্তরের (ডিবিটি) মাধ্যমে কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। এর অর্থ হল, কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছাবে। এতে দুর্নীতির সম্ভাবনা কমে যায় এবং টাকা সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছায়। কৃষকরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে টাকার আগমন নিশ্চিত করতে পারবেন।