K218b Planet: পৃথিবীর ঠিক বাইরের কোনও গ্রহে জীবনের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহের নামও অদ্ভুত, যা পৃথিবী থেকে অনেক দূরে, প্রায় ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে। সম্প্রতি মহাকাশে পাঠানো জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে বিজ্ঞানীরা এই তথ্য পেয়েছেন। আসুন জেনে নিই কেন বিজ্ঞানীরা এমন দাবি করছেন।
জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের বাতাসে দু’ টি বিশেষ গ্যাস খুঁজে পেয়েছেন। ডাইমিথাইল সালফাইড এবং ডাইমিথাইল ডাইসালফাইড। এই গ্যাসগুলি পৃথিবীতে কেবল জীবন্ত প্রাণীর দ্বারা উৎপন্ন হয়, বিশেষ করে সমুদ্রে বসবাসকারী ছোট জীব যেমন শৈবাল। এর অর্থ হতে পারে যে, সেই গ্রহেও একই রকম আণুবীক্ষণিক জীবন থাকতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তারা বলছেন না যে তারা আসলেই জীবন খুঁজে পেয়েছেন। তিনি শুধু এটুকুই বললেন যে এটি জীবনের লক্ষণ হতে পারে। আরও গবেষণা প্রয়োজন, কিন্তু তারা তাদের প্রাথমিক গবেষণায় যা পেয়েছে তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে।
গ্রহটির নাম কী?

বিজ্ঞানীরা এই গ্রহটির নাম দিয়েছেন K2-18b। এই গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে অনেক গুণ বড় এবং এটি তার নক্ষত্রের সেই অংশে ঘুরছে, যেখানে তাপমাত্রা এতটাই উপযুক্ত যে জল তরল আকারে থাকতে পারে। জীবনের জন্য তরল আকারে পানির উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই বিজ্ঞানীরা এটিকে একটি বাসযোগ্য স্থান হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে জীবন সম্ভব হতে পারে।
গ্রহটি সম্পূর্ণরূপে জলে ঢাকা থাকতে পারে
বিজ্ঞানীরা আরও বিশ্বাস করেছেন যে এই গ্রহটি একটি “হাইসিন জগৎ” হতে পারে। এর স্পষ্ট অর্থ হল এটি এমন একটি গ্রহ হতে পারে যা সম্পূর্ণরূপে জলে ঢাকা এবং এর বাতাসে পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রোজেন রয়েছে। আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে এর আগেও এই গ্রহের বাতাসে মিথেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পাওয়া গিয়েছে, যা জীবনের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ অণু হিসাবে বিবেচিত হয়। নিক্কু মধুসূদন বলেন, যদি সত্যিই এই ধরনের গ্রহের অস্তিত্ব থাকে, তাহলে সেখানে অণুজীবের থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাঁর মতে, মানুষের মতো উন্নত বা বুদ্ধিমান প্রাণী সেখানে আছে কি নেই তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, এই আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বিজ্ঞানী নিক্কু মধুসূদন বলেছেন যে এই আবিষ্কার সকলের জন্য খুবই বিশেষ, কারণ এটি প্রমাণ করে যে আজকের প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা অন্যান্য গ্রহে জীবনের সম্ভাবনা এবং চিহ্ন খুঁজে পেতে পারি। তিনি আরও বলেন, আমরা এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি যখন দূরবর্তী গ্রহে প্রাণের সন্ধান করা সম্ভব হয়ে উঠেছে।