চারচাকা গাড়ির আর কি শক্তি! তার চেয়েও শক্তিশালী বাইক নিয়ে এল হার্লে ডেভিডসন। স্পিড তো নয়, চালালে মনে হবে যেন ঝড় উঠেছে। পারফরম্যান্সও চোখ ধাঁধানো। নতুন এই মডেলের নাম CVO Road Glide RR স্পেশাল এডিশন।
এই বাইক সবার জন্য নয়। মাত্র ১৩১ ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। ভাগ্যবানরাই কিনতে পারবেন। এর বিশাল কাঠামো, কার্বন ফাইবারের ডিজাইন এবং ইঞ্জিনের অসাধারণ ক্ষমতা টু হুইলারের দুনিয়ায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল বলে মনে করছেন অনেকেই।
অসীম শক্তিধর ইঞ্জিন
২১৪৭ সিসির ইঞ্জিন। যেন দানব একটা। হার্কে ডেভিডসনের বিখ্যাত ১৯৮২ সিসি ইঞ্জিনের বর্ধিত সংস্করণ এটা। ৬,৫০০ আরপিএম-এ ১৫২ হর্সপাওয়ার উৎপন্ন করতে পারে। ওজন মাত্র ৩৫৬ কেজি। হার্লের অন্যান্য বাইকের তুলনায় হালকাই বলা চলে। এর পাওয়ার-টু-ওয়েট রেশিও বুঝিয়ে দেয় পারফরম্যান্স কী হতে চলেছে।
অনন্য কারিগরি বৈশিষ্ট্য
ওজন কমাতে বাইকের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার। ব্রেকিং সিস্টেমে রয়েছে ব্রেম্বো জিপি৪-আরএক্স সিএনসি ক্যালিপার ও টি-ড্রাইভ রোটর। সাসপেনশনে দেওয়া হয়েছে ওহলিন্সের প্রযুক্তি, যা রাইডিং অভিজ্ঞতাকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়। পাশাপাশি, বিলেট অ্যালুমিনিয়াম সুইংআর্ম ও কাস্ট অ্যালুমিনিয়াম চাকা একে করেছে আরও শক্তিশালী।
প্রযুক্তির চূড়ান্ত সংযোজন
CVO Road Glide RR যেন আধুনিক প্রযুক্তির মিলনক্ষেত্র। কর্নারিং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, কর্নারিং এবিএস, টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম (TPMS), ভেহিকেল হোল্ড কন্ট্রোল, ইলেকট্রনিক লিঙ্ক ব্রেকিং, ১২.৩-ইঞ্চির TFT ডিসপ্লে ও রকফোর্ড ফসগেট স্টেজ ৩ অডিও সিস্টেম—সব মিলিয়ে চালককে পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা দেবে এই সুপারবাইক।
দাম ও অন্যান্য
এই বাইককে অনায়াসে শিল্পের সঙ্গে তুলনা করা যায়। দামও সেরকম। প্রতিটি ইউনিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১,১০,০০০ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯৫.৭৭ লক্ষ টাকা)। ঠিক কবে থেকে ভারতের বাজারে এই সুপারবাইক বিক্রি হবে, তা এখনও জানায়নি হার্লে ডেভিডসন। তবে প্রযুক্তি আর সৌন্দর্যের এই যুগলবন্দী যে নতুন অধ্যায় রচনা করতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।