Covid: বিশ্বজুড়ে আবারও ফিরে এসেছে করোনাভাইরাস। ভারতেও এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। করোনার JN.1 ভ্যারিয়েন্ট সিঙ্গাপুর, চীন, থাইল্যান্ড, হংকং সহ ভারতে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে এক সপ্তাহে মোট ৩১ জন এর কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি দেখে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তাদের আবার বুস্টার ডোজ নিতে হবে কিনা। এখন পর্যন্ত, ১৯ মে ২০২৫ পর্যন্ত, আমাদের দেশে ২৫৭ জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন।
কোথায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কত বেড়েছে?
সিঙ্গাপুরের কথা বলতে গেলে, ২০২৫ সালের মে মাসের শুরুতে এখানে ১৪,০০০ এরও বেশি কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। উদ্বেগের বিষয় হল এই সংখ্যাটি ২০২৪ সালের তুলনায় ২৮% বেশি। যেখানে হংকংয়ে, ১০ সপ্তাহে এর মামলা ৩০ গুণ বেড়েছে। চীনও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। সেখানেও, প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত মামলা বাড়ছে। চীনে পরীক্ষার পজিটিভিটির হার দ্বিগুণ হয়েছে। থাইল্যান্ডও অক্ষত থাকেনি। এপ্রিল মাসে সংক্রান উৎসবের পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভারতেও ২৫৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু থেকে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
JN.1 এবং এর উপ-রূপগুলি
JN.1 রূপ: WHO দ্বারা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চিহ্নিত, ওমিক্রনের একটি শাখা।
LF.7 এবং NB.1.8: JN.1 থেকে প্রাপ্ত উপ-ভেরিয়েন্ট, যা সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করে।
লক্ষণ: জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা এবং পেশী ব্যথার মতো হালকা লক্ষণ।
এই রূপগুলির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা, তবে গুরুতর সংক্রমণের হার খুব কমই দেখা যায়।
ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি
কেসের সংখ্যা: মোট জনসংখ্যার অনুপাতে সক্রিয় মামলা খুবই কম।
লক্ষণগুলি গুরুতর নয়: বেশিরভাগ সংক্রামিত ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না।
সরকারি নির্দেশনা: নতুন করে সংক্রমণের কোনও সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত না পাওয়ায় আপাতত সতর্কতা বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জনাকীর্ণ স্থানে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।
শুধু একটা লাইট জ্বালিয়ে ৩০ কোটি টাকা বেতন পান, তবুও কেন মানুষ এই চাকরি প্রত্যাখ্যান করছে?
কার এটা নেওয়া উচিত?
- বয়স্ক (৬০ বছরের বেশি)
- শিশু (৫-১২ বছর)
- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, অটোইমিউন রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা
কেন এটা নেওয়া উচিত?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হংকং এবং সিঙ্গাপুর সহ অনেক দেশ ৬ মাসের বেশি সময় পরে বুস্টার ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে যদি আপনার শেষ ডোজ বা সংক্রমণের পর ৬ মাসেরও বেশি সময় হয়ে যায়, তাহলে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করলে সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
JN.1 ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে
JN.1 ভ্যারিয়েন্টটি একটি নতুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়া মিউটেশন, যা ওমিক্রন পরিবারের সাথে সম্পর্কিত, তবে এর ফলে সৃষ্ট সংক্রমণ অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত এবং বিপজ্জনক বলে বলা হচ্ছে।
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই রূপটি হালকা লক্ষণ সহ আসে, তবে অবহেলা মারাত্মক হতে পারে। তাই, প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই হাসপাতালে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
JN.1 ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি কী কী?
FPJ রিপোর্ট এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রূপের লক্ষণগুলি নিম্নরূপ:
- উচ্চ জ্বর
- গলা ব্যথা
- কাশি
- ক্লান্তি এবং শরীরে ব্যথা
- নাক দিয়ে পানি পড়া বা ঠান্ডা লাগা
- শ্বাসকষ্ট (গুরুতর ক্ষেত্রে)
JN.1 ভেরিয়েন্টটি কেমন হবে?
- জনাকীর্ণ স্থানে মাস্ক পরুন।
- ঘন ঘন হাত ধুও।
- যদি আপনার কাশি বা জ্বর হয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন জিনিস খান।
- টিকা এবং বুস্টার ডোজ নিন।