এই উপায়ে আবার চালু করতে পারেন বন্ধ হয়ে যাওয়া WhatsApp অ্যাকাউন্ট

Pritam Santra

Published on:

Follow Us

WhatsApp: স্ক্যাম, স্প্যাম এবং অপব্যবহারের সম্ভাবনার কারণে WhatsApp আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে, নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে প্রায় এক কোটি ভারতীয় ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ক্রমবর্ধমান অনলাইন জালিয়াতির পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রিপোর্ট করার কারণে বেশিরভাগ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও, নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অতিকেতিক সিস্টেম দ্বারা অ্যাকাউন্টগুলি নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

আরো পড়ুন: Car Engine Heating Reason: গ্রীষ্মে গাড়ির ইঞ্জিন গরম হয়, কারণ জেনে নিন

কোন কোন কারণে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে?

যদি আপনি অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যবহারকারীকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করেন এবং সে গ্রুপটি ছেড়ে চলে যায় এবং পরে সেই নিম্বড়কে বারবার যোগ করেন তবে হোয়াটসঅ্যাপ আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।যদি আপনি বারবার কারো সাথে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যোগাযোগ করেন বা মেসেজ করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হতে পারে। বট কার্যকলাপ, বাল্ক মেসেজ, অথবা তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমে অটোমেটিক রিপ্লাইয়ের জন্য WhatsApp আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করতে পারে।

‘জিবি হোয়াটসঅ্যাপ’ বা ‘হোয়াটসঅ্যাপ প্লাস’-এর মতো তৃতীয় পক্ষের এবং অবৈধ হোয়াটসঅ্যাপ সংস্করণ ব্যবহার করলে আপনার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হতে পারে। মিথ্যা তথ্য, গুজব বা অবৈধ বিষয়বস্তু শেয়ার করা, অথবা অপরাধমূলক মেসেজ পাঠানোর জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ পলিসি সম্পর্কে জানতে হবে। এর জন্য, হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে যান এবং সহায়তা শর্তাবলী এবং প্রাইভেসি পলিসি ক্লিক করুন এবং এটি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন। যদি আপনার অ্যাকাউন্ট ভুলবশত নিষিদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপিল করতে পারেন। এর জন্য, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সেটিংসে ‘রিভিউ রিকোয়েস্ট’ অপশনে ট্যাপ করতে হবে।

WhatsApp Safety

এর পরে SMS এর মাধ্যমে আপনার নম্বর যাচাই করতে হবে। অ্যাপের মাধ্যমে অনুরোধ পাঠাতে যদি আপনার সমস্যা হয়, তাহলে ইমেলের মাধ্যমে WhatsApp সাপোর্ট ([email protected]) এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ই-মেইলে অবশ্যই ফোন নম্বর, দেশের কোড এবং অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ করার কারণ উল্লেখ করতে হবে। আপনার পাঠানো অ্যাপিল পর্যালোচনার পর WhatsApp আপনার অ্যাকাউন্ট রিকোভার করতে পারে অথবা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধও করতে পারে।